যশোর জেলায় বোরো চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা,চাষে লক্ষমাএা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভবনা

যশোর জেলা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, এবার জেলায় বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, ১ লক্ষ ৬২ হাজার ৬৭৩ হেক্টর,যা গত বছরে ছিলো ১ লক্ষ ৪৩ হাজার ৫৪০ হেক্টর। এখন র্পযন্ত চাষ হয়ছে আনুমানিক ১ লক্ষ হেক্টর জমিতে। বোরো চাষের পুরোপুরি সময় শেষ হলে এবার বোরো চাষে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। আর বীজতলার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলো, ৭ হাজার ৮৮৭ হেক্টর, চাষ হয়ছে ৭ হাজার ১৩১ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের চেয়ে কিছুটা কম।
যশোর সদর উপজেলার চূড়ামনকাটির কৃষক আব্দুর জলিল জানান, এ মৌসুমে আমি ৪ বিঘা বোরো ধান চারা রোপন শুরু করে দিয়েছি। ধানের চারা রোপনের জন্য ক্ষেত প্রস্ততির কাজ শুরু করছি। এ দিকে বীজতরার চারা রোপনের উপযোগী হয়েছে।তবে এবার অন্য বছরের তুলনায় শীতের মাত্রা বেশী হওয়ায় চারা রোপনের উপযোগী হতে বেশি সময় নিয়েছে। সদর উপজেলার ফতেপুর বাউলিয়া এলাকার কৃষক কাজল জানান, আমন চাষের চেয়ে বোরো চাষে খরচ বেশি তাই আমন চাষের চেয়ে ৩ বিঘা জমি বোরো চাষ কম করেছি। তিনি এ মৌসুমে ৫ বিঘা জমেিত বোরো রোপণ করছে। সার, কীটনাশক, সেচ ও শ্রমিকসহ বিভিন্ন উপকরণ বাবদ বিঘা প্রতি তার খরচ হয় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। জমিতে ভালো ফলন হলে বিঘা প্রতি ২০-২৫ মণ ধান পাওয়া যায়। সব মিলিয়ে বোরো চাষে লাভের মুখ কম দেখেন কৃষকরা। মনিরামপুর উপজেলার হরিহরনগর গ্রামের সুলতান ফকির চাঁদ জানান, তিনি ৬ বিঘা জমিতে বোরো চাষ করেছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বর্তমানে সার কীটনাশক সব সব ধরণের কৃষি পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় চাষের খরচ বেড়েছে দ্বিগুন। কিন্তু সেই তুলনায় বাড়েনি ধানের দাম। ফলে ধানের ফলন ভালো হলেও লোকশানের মুখে পড়তে হচ্ছে কৃষকদের।
এ ছাড়া এ উপজেলার রোহিতা এলাকার বোরো চাষী কৃষক নজরুল ইসলাম শফিকুল, সালাম, লাল্টু, আতয়িার রহমানসহ অনেকেই কৃষক জানিয়েছেন, এবার দ্রুত বোরো আবাদ শুরু করেছি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে চলতি মৌসুমে বোরো রোপণ করে তারা এবার বাম্পার ফলনের আশায় বুক বেধে আছেন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ইমদাদ হোসেন সেখ জানান, যশোর ৬ টি উপজেলাতে এবার বোরো চাষের আগ্রহ বেড়েছে। বৃষ্টি মৌসুমে এবার পরিমান মতো বৃষ্টি হওয়ায় কোথাও তেমন জলাবদ্ধতা নেই। তাই যে জাযগায় বোরো আবাদ হতো না সে জায়গায় এবার বোরো আবাদ হচ্ছে। এ ছাড়া এ সরকারের একান্ত প্রচেষ্টায় কৃষকদরে ঋণ প্রদান, ফসল উৎপাদনের আধুনিক পদ্ধতি প্রশিক্ষণ প্রদান ও জমি চাষ, সার-কীটনাশক ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতি শেখানো এবং সংশিষ্ট বিষয়ে সু-পরার্মশ দেওয়া হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার যশোর জেলায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হতে পারে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।